সারা বিশ্বের প্রতিনিয়তই চলছে শতশত এয়ারলাইন্স কোম্পানী। কিন্তু করোনাকালে যাত্রীসেবা থেকে শুরু করে করোনা নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট প্ররিচালনার কারনে এয়ারলাইন নিরাপত্তা ও বিমান পণ্য পর্যালোচনা ওয়েবসাইট এয়ারলাইন রেটিংস ডটকম একটি সেরার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে সারাবিশ্বের ৩৮৫টি বিমান সংস্থার বিভিন্ন দিক পরিমাপ করেছে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা, গুরুতর দুর্ঘটনা, উড়োযানের বয়স, কোভিড-১৯ প্রটোকল ও পরিচালনা কার্যক্রমে নতুনত্ব।
এবারের তালিকায় শীর্ষে আছে এয়ার নিউজিল্যান্ড। ককপিটে নতুনত্ব আনা, পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং খুব অল্প বয়সী উড়োযান বহরে রাখার সুবাদে এক নম্বর জায়গাটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করতে গিয়ে তেমন গুরুতর কোনও ঘটনার জন্ম দেয়নি নিউজিল্যান্ডের পতাকাবাহী এই সংস্থা।
এয়ারলাইন রেটিংস ডটকমের এডিটর-ইন-চিফ জিওফ্রে থমাসের ব্যাখ্যায়, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে আকাশপথে যাত্রী কমে যাওয়ায় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য ছিল প্রতিকূল। যাত্রীসেবা প্রদানে আবারও ফেরার আগে পাইলটদের ব্যাপকভাবে পুনরায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিসর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন এয়ারলাইন রেটিং সম্পাদকেরা। এয়ার নিউজিল্যান্ড এক্ষেত্রে সবার চেয়ে অগ্রগামী।
এয়ারলাইন রেটিংস ডটকম বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ বাজেট এয়ারলাইনসের তালিকা প্রকাশ করেছে। শীর্ষ দশে আছে আমেরিকার অ্যালিজেন্ট এয়ার, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস ও জেটব্লু, লন্ডনের ইজিজেট, অস্ট্রেলিয়ার জেটস্টার, আয়ারল্যান্ডের রায়ানএয়ার, ভিয়েতনামের ভিয়েতজেট এয়ার, মেক্সিকোর বোলারিস, কানাডার ওয়েস্টজেট এবং হাঙ্গেরির উইজ এয়ার।
২০২২ সালের নিরাপদ ২০ এয়ারলাইন্স
১. এয়ার নিউজিল্যান্ড
২. ইতিহাদ এয়ারওয়েজ
৩. কাতার এয়ারওয়েজ
৪. সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস
৫. টিএপি এয়ার পর্তুগাল
৬. এসএএস
৭. কোয়ান্টাস
৮. আলাস্কা এয়ারলাইনস
৯. ইভিএ এয়ার
১০. ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া/ভার্জিন আটলান্টিক
১১. ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ
১২. হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনস
১৩. আমেরিকান এয়ারলাইনস
১৪. লুফথানসা
১৫. ফিনএয়ার
১৬. কেএলএম রয়েল ডাচ এয়ারলাইনস
১৭. ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ
১৮. ডেলটা এয়ার লাইনস
১৯. ইউনাইটেড এয়ারলাইনস
২০. এমিরেটস