হায়া সোফিয়া সম্রাট জাস্টিনিয়ান-১ এর শাসনামলে ৫৩২ থেকে ৫৩৭ এ.ডি.-এর মধ্যে এই অনিন্দ্য সুন্দর প্রাসাদটি তৈরী করা হয়।তখন থেকেই এটি অর্থোডক্স ক্রিশ্চিয়ান চার্চ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো এবং এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাইজেন্টাইন স্থাপনা মনে করা হতো।১৪৫৩ সালে ওটোমানরা ইস্তানবুল তৎকালীন (কনস্টান্টিনোপল) জয়ের পর এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করে।১৯২৩ সালে তুর্কি আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগঠনের পর,মুস্তফাকেমাল আতাতুর্কের শাসনামলে ১৯৩৫সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।১৯৮৫ সালে ইউনেসকো হায়া সোফিয়াকে বিশ্বঐতিহ্য স্থান হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে।
জুলাই ০২, ২০২০ তারিখে তুর্কির সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, হায়া সোফিয়া মূল সম্পত্তির চুক্তিতে মসজিদ হিসাবে নিবন্ধিত ছিল যার ফলে সর্বোসম্মতভাবে এটিকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।হায়া সোফিয়া এবং এরপাশেই নীল মসজিদকে তুর্কির প্রধান আকর্ষন মনে করা হয় এবং প্রতি বছর প্রায় কয়েক লক্ষাধিক পর্যটক এটি দেখতে যান।উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে প্রায় ৩৮ লক্ষ্য পর্যটক হায়া সোফিয়ার সৌন্দর্য দেখতে গিয়েছিলো।
অবস্থান: সুলতান আহমেত, হায়া সোফিয়া মেয়দান নং-০১, ৩৪১২২ ফেইথ/ ইস্তানবুল, তুর্কি
যেভাবে যাবেন: ঢাকা (বাংলাদেশ) থেকে সরাসরি বিমানযোগে ইস্তানবুল (তুর্কি), তারপর ইস্তানবুল থেকে তোপকাপিপ্যালেস এবং সেখান থেকে দুই মিনিট হেটে গেলেই হায়া সোফিয়ার অবস্থান।
লেখকঃ খন্দকার নাজমুস সাদত (ইইই, এমবিএ)