হাতিমাথা স্বর্গের সিঁড়ি খাগড়াছড়ি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। স্বর্গের সিঁড়ি নামটি শুনলেই মনে হয় কেমন যেন হবে জয়গাটি। তবে কল্পনারাজ্যে ভেসে ওঠে এমন একটি জায়গা যেখানে ধাপে ধাপে উপড়ে উঠতে হবে আর মুগ্ধতা বাড়তে থাকবে। তেমনি একটি জায়গা হল বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের মায়ুং কপাল পাড়ায়। অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় এ জায়গাটি। তবে একবা যে গিয়েছে সারা জীবনে ভুলতে পারবে না। এটি ত্রিপুরা অধ্যুষিত এলাকা। উঁচু খাড়া পাহাড়ের সামনের দিকটা হাতির মাথার মতো দেখতে হওয়ায় স্থানীয়রা ‘হাতিমাথা’ বলে ডাকেন।চাকমাদের কাছে এটি ‘এদো শিরে মোন’ এবং ত্রিপুরাদের কাছে ‘মাইয়োং কপা’ নামে পরিচিত। তবে দুটোর অর্থই হাতির মাথা পাহাড়। পাহাড় আর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে এই সিঁড়ির তাই এক নিমিষে শুরু থেকে শেষটা দেখা ভার।
হাতির মাথা পাহাড় চূড়া থেকে খাগড়াছড়ির সুউচ্চ পাহাড় সারির সৌন্দর্য বেশ উপভোগ্য। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে পাখির চোখে দেখা যায় খাগড়াছড়ি শহর। পাহাড়ের চূড়ায় শীতল হাওয়া ও পাখির কলতান মনকেড়ে নেয় পর্যটকদের। ফলে দিনে দিনে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে হাতির মাথা পাহাড় চূড়া। প্রাকৃতিকভাবে আকর্ষণীয় হাতির মাথা পাহাড় ও চলাচলের জন্য বানানো স্বর্গের সিঁড়িকে খাগড়াছড়ির ভ্রমন পিয়াসুদের করেছে আরও আকর্ষনীয়।
স্বর্গের সিঁড়ি স্থাপন করা হয় ২০১৫ সালে। শুধুমাত্র স্থানীয়দের চলাচলের জন্য ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিঁড়ি স্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। খাড়া পাহাড় বেয়ে ওঠা নান্দনিক সিঁড়ি স্থানীয়দের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আনুমানিক ১১০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলের তিনশ সিঁড়ি বেয়ে হাতি মাথায় উঠতে হবে। হিম শীতল বাতাসে সিঁড়ি বেয়ে যখন, পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকবেন তখন নৈসর্গিক সৌন্দর্যতে চোখ ধাঁধা লেগে যাবে। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ।
যেভাবে যাবেন
খাগড়াছড়ি পৌঁছে গাড়ি নিয়ে চলে যাবেন হাতিমুড়া। সেখান থেকে পানছড়ি যাওযার পথে জামতলীস্থ যাত্রী ছাউনির সামনে নামতে হবে। বাঁ-দিকের রাস্তা ধরে সোজা গিয়ে চেঙ্গী নদী পেরোলে ডান দিকে স্কুল। সেখান থেকে একঘণ্টার হাঁটাহাঁটির পরই চলে আসবে স্বর্গের সিঁড়ি। রাতে থাকার জায়গা নেই, ফিরে আসুন খাগড়াছড়িতে।