হলি সি যাকে রোমের দর্শন বলা হয়। হলি সি বিশ্বব্যাপী পোপের দেশ হিসেবে পরিচিত। ভ্যাটিকান সিটি নামে পরিচিত হলেও আসলে ভ্যাটিকান সিটি হল হলি সি এর রাজধানীর নাম।
ক্যাথলিক ওইতিয্য অনুসারে এটি প্রথম শতাব্দীতে সেন্ট পিটার এবং পল দ্বারা পেট্রিন এবং প্যাঁপাল আদিমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের মহা মিলন মেলার কেন্দ্রবিন্দু। এটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্র , যার সদর দফতর ভ্যাটিকান সিটি ।যেখানে পোপ সর্ব ক্ষমতার অধিকারী। তবে এটি লাতিন চার্চ এবং ২৩ টি পূর্ব ক্যাথলিক গীর্জা এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়েছিল।
যদিও হোলি সি-কে ভ্যাটিকান সিটি হিসাবে উল্লেখ করা হয়, ভ্যাটিকান সিটি স্টেটটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৯২৯ সালের ল্যাটরান চুক্তির সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হলি সি এবং ইতালির মধ্যে, পোপের সাময়িক, কূটনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় । এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় রাজ্য এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির পাপাল কূটনীতিক, পাপাল নুনোসিস ক্যাথলিক চার্চের ক্যানন আইনে হোলি সি কে রাস্টীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়, ভ্যাটিকান সিটি কে নয়।হলি সি কে ক্যাথলিক চার্চের কেন্দ্রীয় সরকার হিসাবে দেখা হয়। এর পরিবর্তে, ক্যাথলিক চার্চ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারী শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী হলি সি-এর কূটনৈতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিতি লাভ করে ।
হলি সি ১৭২ সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। হোলি সি হ’ল সৌদি আরব, এসওয়াতিনি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ব্রুনােই এবং ওমান সহ বিশ্বের সর্বশেষ সাতটি নিরঙকুশ রাজতন্ত্রের মধ্যে একটি।
হলি সি এর মজার ফ্যাক্ট
২. এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্র। টিবার নদীর ডান তীরে অবস্থিত এর আয়তন মাত্র ৪৪ বর্গকিলোমিটার । এখানে প্রায় ৬০ টি ফুটবল খেলার মাঠ রয়েছে। এদেশের জনসংখ্যা ১০০০ জনেরও কম।