1. admin@vromontv.com : vromonadmin :
ভ্রমন টিভি। ভ্রমন,ভিসা,ইমিগ্রেশন নিয়ে দেশের প্রথম অনলাইন টিভি।
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
ভ্রমন সংক্রান্ত সর্বশেষ খবর
ডিবির হাওর। Dibir Haor ‍Sylhet। অসাধারন এক দর্শনীয় স্থান। শিলং (Shilong) মেঘালয় (Meghalaya) ভ্রমন গাইড। শিলং এর সকল দর্শনীয় স্থান। সিঙ্গাপুর গিয়ে কি কি দেখবেন এবং বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর এর ভিসা কিভাবে করবেন। (Singapore Visa From Bangladesh) বাংলাদেশ থেকে সুইডেন ভিসা (Sweden Visa From Bangladesh) কিভাবে করবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা (USA Tourist Visa From Bangladesh) কিভাবে করবেন। জার্মানি ভ্রমন ভিসা করতে চান? জেনে নিন (Germany Tourist Visa) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জেনে নিন ইউরোপের শক্তিশালী দেশ জার্মানি (Germany Documentary) সর্ম্পকে। নভোএয়ার এ কক্সবাজার এর টিকেট কিনলে দুই রাত হোটেল ফ্রি। (NovoAir Ticket Offer) অ্যান্টার্কটিকা জয়ের বিস্ময়কর গল্প! এন্টার্কটিকা মহাদেশ ভ্রমন গল্প শুনুন বাঙালি দম্পতির কাছ থেকে। Antarctica Travel বিমানে করে ঘুরে আসতে পারবেন অ্যান্টার্কটিকা (এন্টার্কটিকা) মহাদেশ থেকে। Antarctica Travel







সিকিম ভ্রমন নিয়ে বিস্তারিত। Sikkim Tour From Bangladesh

Travel News
  • Update Time : শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৪৩৩ Time View
Sikkim Tour, সিকিম ভ্রমন;
Sikkim Tour, সিকিম ভ্রমন;







সিকিম Sikkim ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য সিকিম প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন নগরী। ভারতের উত্তর পূর্বে অবস্থিত সিকিমকে ঘিরে আছে পশ্চিমবঙ্গ, ভুটান, নেপাল এবং তিব্বত। ৭০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিকিমের মোট জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। সিকিমের বৃহত্তম শহর এবং রাজধানীর নাম গ্যাংটক । বাংলাদেশ থেকে সহজে ও কম খরচে ভ্রমণ করা যায় বলে পর্যটকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিকিম ।

সিকিম সৌন্দর্যের এক অপার চরণভূমি। চমৎকার পাহাড়ি ঝর্না, গভীর উপত্যকা, ঔষধি গাছের বন এবং সমৃদ্ধ জীবনবৈচিত্রে পরিপূর্ণ সিকিম। আলপাইন চারণভূমি, পাহাড়, হিমবাহ ও হাজারো বুনো ফুলে ভরা সিকিমের গ্যাংটক ও লাচুং এর মত উপশহরের প্রতিটি জায়গা পর্যটকদের মুগ্ধ করে আর। আর পূর্ব সিকিমের অপার সৌন্দর্যের ধারক সাঙ্গু লেক এই শহরের আরেক বিশেষ আকর্ষণ। উত্তর সিকিম, পূর্ব সিকিম, দক্ষিণ সিকিম এবং পশ্চিম সিকিম এই ৪ জেলার সমন্বয়ে গঠিত সিকিম রাজ্য ।

সিকিমের দর্শনীয় স্থান

অপার সৌন্দর্যে ভরা সিকিম সিকিমে দেখার মত আছে অনেক জায়গা। তবে অধিকাংশ টুরিস্ট স্পটের অবস্থান গ্যাংটক,লাচুং ও পেলিং শহরে। আর গ্যাংটক হল সিকিমের সকল শহরে যাতায়াতের মূল কেন্দ্রস্থল।

গ্যাংটক Gangtok

Gangtok গ্যাংটক সিকিম রাজধানী যা মূলত পূর্ব সিকিমের অন্তর্গত। বর্তমানের তিব্বতীয় বৌদ্ধ কেন্দ্র ও সিকিমের হিমালায়ান শীর্ষ থেকে ট্রাকিং করার জন্য হাইকারদের বেজ ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে তাশি ভিউ পয়েন্ট Tashi View Point কাঞ্চনজঙ্ঘা ও আশেপাশের পাহাড় দেখা যায়। আর মাত্র ৫০ রুপি দিয়ে ছবি তোলার জন্য ঐতিহ্যবাহী পোশাক ভাড়াও পাওয়া যায়। তিব্বতিয়ান সাংস্কৃতিক কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নামগাল ইনস্টিটিউট অফ তিব্বতটোলজি Namgal Institute Of Tibbetology এর জাদুঘরে বিভিন্ন বৌদ্ধ মূর্তি, সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র, ধর্মীয় রীতি-নীতি, লাইব্রেরী এবং রিচার্স সেন্টার রয়েছে। ইন্ডিয়ান আর্মির নিয়ন্ত্রণে হনুমানকে উৎসর্গ করে স্থাপিত ‘হনুমান টক মন্দির ‘যেখান থেকে পার্বত্য ভ্যালি ও পাহাড়ের সৌন্দর্য নজরে পড়ে। এছাড়াও বান ঝাকরি ফলস ( Ban Jhakri Falls) এর সুন্দর ঝর্না দেখার সাথে সাথে অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রানী সম্বলিত সিকিম হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক, রুমটেক মনাস্ট্রি (Rumtek Monastery), এনেছ মনাস্ট্রি(Enchey Monastery), নাথুলা (Nathu La), রিডজ ফ্লাওয়ার পার্ক(Ridge Flower Park), সারানসা গার্ডেন (Saramsa Garden), লহাসা ফলস(Lhasha Falls) ও গান্ধী মূর্তির মত দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন আর গ্যাংটকের ক্যাম্পিং, রোপওয়ে, রাফটিং, ট্রাকিং ও হ্যাকিংয়ের সুযোগ পর্যটকদের জন্য আরেক বিশেষ আকর্ষণ।

পেলিং Pelling

পশ্চিম সিকিমের একটি ছোট শহর পেলিং। স্কাইওয়াক পেলিং এ পাহাড়ের উপরে ঝুলন্ত ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ব্রিজ দিয়ে মন্দিরে যাওয়ার ভিন্ন অভিজ্ঞতা কোন অ্যাডভেঞ্চার এর চেয়ে কম নয়। রিম্বি নদীর পাশেই রিম্বি অরেঞ্জ গার্ডেনে এলাচ, কাঠ বাদাম ও কমলার গাছ দেখতে পাবেন এখানে জনপ্রতি এন্ট্রি ফি হচ্ছে ১০ রুপি। কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলসের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেকেই এখানে আসেন। আবার রাবদেন্তসে রুইন্স (Rabdentse Ruins)এর মতো ঐতিহাসিক জায়গায় ২৫ রুপির বিনিময়ে ট্রাকিং করতে পারবেন। পশ্চিম সিকিমে রয়েছে প্রায় ৩০০ বছর পুরনো পেমায়াংতসে মোনাস্ট্রি (Pemayangtse Monastery) এর স্থাপত্যশৈলী পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করে।

লাচুং Lachung

উত্তর সিকিমের অন্তর্গত তিব্বতিয়ান বর্ডার এর কাছে অবস্থিত লাচুং গ্রাম বিভক্ত হয়েছে নদী দিয়। গ্যাংটক থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রামে যেতে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। চারপাশে অপরূপ সুন্দর পরিবেশ ও ইয়ামথাং ভ্যালি যাবার পথে তিস্তা নদীর স্বচ্ছ পানি ও দুটি অসাধারণ ঝর্না মনকে প্রশান্তি এনে দেয়। ইয়ামথাং ভ্যালি থেকে দূরের পাহাড়ে বরফ এর সন্ধান পাবেন। এখানে আপেল বাগান দিয়ে ঘেরা হাজার ১৯ শতকের বৌদ্ধ লাচুং মঠ রয়েছে৷ এছাড়া সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত কাটাও মিডল পয়েন্ট থেকে সাদা বরফের ঢাকা সুন্দর পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য দেখা যাবে। এখানে আরো আছে ভীম নালা ফল (BhimNala Fall) খান্দা ওয়াটার ফলস এবং ট্রাকিং করার জন্য স্নো পয়েন্ট ।

সাঙ্গু লেক Changu Lake

গ্যাংটক থেকে ৪০ কিলো দূরে পূর্ব সিকিমে অবস্থিত সাঙ্গু লেক “Tsomgo Lake” নামেও পরিচিত ভূপৃষ্ঠ থেক মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই বরফের হ্রদ সিকিমের পর্যটনের অন্যতম তীর্থস্থান। এই লেকের প্রকৃত সৌন্দর্য লিখে বা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না শুধুমাত্র অনুভব করা যায়।বিশেষ করে গ্যাংটক থেকে সাঙ্গু লেক এ যাওয়ার রাস্তা যেন ছবির মত সুন্দর। প্রচন্ড ঠান্ডা এখানকার আবহাওয়া। যত উপরের দিকে যাওয়া যায় ঠান্ডা তত বাড়তে থাকে। স্নো ফলের মধ্যে বরফ দিয়ে খেলা করার প্রকৃত মজার এখানে না আসলে কখনোই উপলব্ধি করা যায় না।

ইয়ুকসোম Yuksom

ইয়ুকসোম পশ্চিম সিকিমের একটি ঐতিহ্যবাহী শহর । কাঞ্চনজঙ্ঘার ঝর্না, ছোট ছোট লেক ও বৌদ্ধমন্দির দেখা যায় এখান থেকে সেই সাথে হাইকিং করারও সুযোগ আছে।

ইয়ামথাং ভ্যালি সাধারণত ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স নামে পরিচিত। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে জুন মাসের মধ্যে সময়ে বিভিন্ন রঙের ফুলে পুরো ভ্যালি ঢেকে থাকে।

এছাড়া লাচেন এর মনাস্ট্র,  রাভাংলা(Ravangla) এর বুদ্ধ পার্ক , রালাং মনাস্ট্রি,  সানরাইজ ভিউ পয়েন্ট, নামচি, চারধাম টেম্পল, কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক (Kanchendzonga National Park) ৮০০০-১২০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত  সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক, অরিতার লেক ও ঋষি খোলা  ফলস পর্যটকদের জন্য দর্শনের তীর্থস্থান।

সিকিম ভ্রমণের সময়

ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মেয এবং সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সিকিম ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ সময়। শীতকালে বরফে রাস্তা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা থাকে এছাড়া উত্তর সিকিমে   সারাবছরই পাহাড় ধ্বস নামে আর বর্ষার সিকিমের অনেক জায়গায় যাওয়া যায় না। তবে দক্ষিণ পশ্চিম সিকিম এবং  গ্যাংটকের সারা বছর যাওয়া যায়।

সিকিম কিভাবে যাবেন

সিকিম যাওয়ার জন্য প্রথমে বাসে করে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা যেতে হব। ঢাকা থেকে হানিফের বাস সরাসরি বাংলাবান্ধা যায়। বাংলাবান্ধায় বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন শেষ করে তারপর ইন্ডিয়ান বর্ডারের ইমিগ্রেশন শেষ করে অটোতে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। ফুলবাড়ি থেকে বাসে 10 রুপি খরচ করে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে হবে। শিলিগুড়িতে পৌঁছে ম্যাপ দেখে SNT ( Sikkim Nationalized Tranport)অফিসে  অনুমতি নিতে হবে ।  সিকিম ভ্রমনের জন্য ১০ দিনের অনুমতি নেওয়া ভালো।  শিলিগুড়ি থেকে সিকিম এর রাজধানী শহর গ্যাংটক এর দুরত্ব 114 কিলোমিটার।সড়কপথে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে সময় লাগে 6 ঘন্টা শিলিগুড়ি সিকিম ন্যাশনালাইজড ট্রান্সপোর্ট SNT বাস টার্মিনাল কিংবা NJP স্টেশন থেকে শেয়ারে গাড়ি ভাড়া নিলে জনপ্রতি খরচ পড়বে 350 থেকে 400 টাকা। বাস ভাড়া লাগবে জনপ্রতি 120 টাকা।

সিকিম যাওয়ার গাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে সিকিমের রেজিস্ট্রিকৃত গাড়ি ভাড়া করার চেষ্টা করবেন। ওয়েস্টবেঙ্গল কিংবা অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশনের গাড়ি গ্যাংটক সিটি সেন্টারের দুই কিলোমিটার নিচে দেওরালিতে  নামিয়ে দেবে তখন আপনাকে আবার নতুন করে গাড়ি ভাড়া করে আসতে হবে।

সিকিম টুর প্লান

প্রথম দিন : রাতে বাসে ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন শেষ করে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম এর রাজধানী গ্যাংটক। হোটেল বুকিং দিয়ে  পরদিন  সাইটসিইং এর জন্য গাড়ি ঠিক করা। গ্যাংটক সাইট সিং এর জন্য পুরো গাড়ি রিজার্ভ নিতে ২৫০০-৩০০০  টাকা লাগে । সিজন  অনুযায়ী ভাড়ার পরিমাণ কমবেশি পেয়ে থাক। 

দ্বিতীয় দিন : সকাল আটটায় গ্যাংটক সাইট সিং এর জন্য রওনা দিয়ে দিন। হনুমান টক, কয়েকটা মনেস্ট্রি, রোপওয়ে, মিউজিয়াম, টাসি ভিউ পয়েন্ট,ঝানঝাকরি ওয়াটার ফল সহ ৭ থেকে ১১ টি স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন৷ নর্থ সিকিম ঘোরার জন্য প্যাকেজ নিয়ে নিন। নর্থ সিককিম ১ দিন ১ রাত ঘুরার রুট হবে গ্যাংটক-লাচুং-ইয়ামথাং ভ্যালি-গ্যাংটক।

তৃতীয়  দিন: সকাল ৭ টার মধ্যে গ্যাংটক থেকে ১২২কিলোমিটার দূরে লাচুং এর উদ্দেশ্যে রওনা ৷

  চতুর্থ দিন: সকালে লাচুং থেকে ইয়াংথাম ভ্যালি  হয়ে গ্যাংটক ফিরে আসা।

পঞ্চম দিন : সম্মু বা সাঙ্গু লেক ঘুরতে যাওয়া এবং গ্যাংটক  ফিরে আসা।

ষষ্ঠ দিন:সকালবেলা গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি এবং বাংলাবান্ধা হয়ে ঢাকায় ফিরে আস।

সিকিম ভ্রমণ খরচ

ঢাকা থেকে হানিফের বাসে বাংলাবান্ধায় যেতে জনপ্রতি ভাড়া নিবে 700 টাকা আর ইমিগ্রেশন ও ট্যাক্সি ভাড়া সহ সিকিমে যেতে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে ১৮০০-২০০০ টাকা। আবার নর্থ সিকিম এর বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে লাচুং ইয়ামথাং ভ্যালি ঘোরার জন্য খরচ পড়বে ১১০০০-১৪০০০ রুপী। তবে সিকিম রেস্ট্রিকট্রেড এরিয়া তাই ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এখানে ঘোরাঘুরি করতে হবে আর নর্থ সিকিম এর প্যাকেজ নিলে খরচ কম হওয়ার সাথে সাথে ঘুরতেও সুবিধা হবে। হোটেল থেকে প্যাকেজ না নিয়ে কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে প্যাকেজ নিলে খরচ কম পড়বে। সিকিমের খাওয়া-দাওয়া যাতায়াত ও ঘোরাঘুরি বাবদ ৬ দিন ৭রাত  থাকতে জনপ্রতি ১৬,০০০-২০,০০০ হাজার টাকার মত লাগবে৷ তবে সিকিমে  ৬/৭  জনের গ্রুপ করে যাতায়াত করলে ও হোটেল রুম শেয়ার করলে খরচ অনেক কমে আসবে।

 সিকিমে কোথায় থাকবেন

 সিকিমের গ্যাংটক, পেলিং , লাচুং ও এম জি মার্গে থাকার  জন্য অসংখ্য হোটেল- মোটেল এবং হোম স্টে সুবিধা রয়েছে । হোটেল অনুযায়ী দুই বেডের ভাড়া লাগবে ১৫০০-৫০০০ টাকা৷  তবে পর্যটন মৌসুমে হোটেলের ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায় একটু খোঁজ করলে 500 থেকে 1000 টাকার মধ্যে দুইজন রাত্রিযাপনের মত কক্ষ পাওয়া যাবে। গ্যাংটকের  কিছু হোটেলের তথ্য নিচে দেওয়া হল

হোটেল প্রিয়দর্শিনী:  এই হোটেলে ডাবল বেডের রুমে ভাড়া ১৬০০-২৫০০ টাকা ৪ বেডের রুমে ভাড়া ২৪০০  টাকা এবং ছয় বেডের  রুমের ভাড়া ১৫০০-২৫০০ টাকা ফোন : ৯৮৩৬৫৫৬১৩৯, ৯৪৩৩০৬৭৬৭৩

হোটেল উইলিস: হোটেল উইলিসের ডাবল বেডের  একটি কক্ষে ভাড়া ২০০০-৩৫০০ টাকা। ফোন: ৮১৭০০-৬৭৯৫২, ৭৫৫৭০-৮৬৬৫২

সোয়াংগ হোটেল : এই হোটেলে ডাবল বেডের একটি কক্ষ ভাড়া নিতে  ১৮০০-২৫০০টাকা ব্যয়  হবে৷ ফোন: ৮২৫০৮৯৩৩১৫৷

নিউ হোটেল সিকিম: এই হোটেলের ডাবল বেডের একটি কক্ষ ভাড়া নিতে ১৫০০-২৫০০ টাকার মত ব্যয় হবে। ফোন: ৯০৫১১৬৬৬৯৩

সিকিমে কি খাবেন 

সিকিম কে বলা হয়  “. Land of organic এখানে সব জিনিসই খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফ্রেশ তাই সিকিমে বেড়াতে আসলে ভালো ফ্রেশ খাবার পাবেন এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবেন। গ্যাংটকের এম জি মার্কেট, লাল বাজার রোডে সস্তার মধ্যে মজার স্ট্রিটফুড খেতে পারবেন। আর নিম্থ মামাস চিকে,  ক্রান্মস এন্ড হুইপ্স,ক্যাফে রয়ালে, গুপ্ত রেস্টুরেন্ট, লোকাল ক্যাফে ও কাবুলের মত রেস্টুরেন্টে থুকপা,মম,গুন্ডুরুক স্যুপ,শা ফায়েল,তিব্বতিয়ান ব্রেড ও লাচ্ছির মত খাবারগুলো খেতে পারবেন।

সিকিম ভ্রমণের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ 

  • পাসপোর্ট ভিসা ও সিকিম ভ্রমণের অনুমতি পত্রের অন্তত 10 থেকে 12 টি ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবির সাথে রাখুন।
  • সিকিম ভ্রমণে বিভিন্ন পর্যায়ে দালালের উপদ্রব এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন। বিশেষ করে শিলিগুড়ির দালালদের থেকে কোন ভ্রমণের প্যাকেজ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • বর্ডার থেকে প্রয়োজনীয় মানি এক্সচেঞ্জ করে নিন অন্যান্য জায়গা চেয়ে ভালো রেট পাবেন।
  • সিকিমে Vodafone এর সার্ভিস বেশ ভালো।
  • ট্রাভেল ট্যাক্স ঢাকা  থেকেই জমা দিয়ে দিন, এতে সময় বাঁচবে।
  • সিকিমের অধিকাংশ মন্দিরও জাদুঘরে ছবি তোলার সম্পূর্ণ নিষেধ,   তাই এই ব্যাপার গুলোতে সচেতন থাকবেন।
  •  ট্রেকিং করতে চাইলে ভালো গ্রিপ এর জুতো বা কেডস সাথে নিন।
  • সিকিম ভ্রমণের ক্ষেত্রে   শীতের পশমি ভারী কাপড়, জ্যাকে,  ছাতা, হাত ও পা মোজা,  মাফলার, কানটুপি ও বরফঢাকা রাস্তায় হাঁটার জন্য অবশ্যই গামবুট সাথে নিবেন আবার সিকিমের হোটেলের নিচ থেকেও গাম বুট ভাড়া নিতে পারেন।
  • গ্যাংটকের রাত ৯ টার পর দোকানপাটও রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যায।
  •  ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে প্যাকেজ নেওয়ার সময় খাবারও হোটেল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জেনে নিন।
  • শীতের সময় কাঠের হোটেলগুলো তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা হয়ে থাকে।
  • নর্থ সিকিমে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ট্রাভেলিং এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে। গ্রুপে  যেতে চাইলে আগে থেকেই গ্রুপ করে ফেলু,  কোন ট্রাভেল এজেন্সি আপনাকে গ্রুপ  করার ব্যাপারে সাহায্য করবে না।










Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




More News Of This Category







© All rights reserved © 2022 VromonTV
Developed By VromonTV