আমাদের আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো শিলং (Shilong) মেঘালয় (Meghalaya) ভ্রমন গাইড। শিলং এর সকল দর্শনীয় স্থান সর্ম্পকে । শিলং (Shilong) উত্তরপূর্ব ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন শহর। প্রায় ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শিলং শহর এবং তার আশেপাশে দেখার জন্য অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। বিশেষত, যারা পুরো পরিবার নিয়ে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে যান, তারা শিলংকে বেছে নিতে পারেন।
বাংলাদেশের সিলেট জেলার সাথেই মেঘালয় রাজ্যের অবস্থান। পৃথিবীর ২য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চেরাপুঞ্জিতে, যা মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত। যারা মেঘ, পাহাড়-পর্বত এবং ঝর্ণা ও জলপ্রপাত ভালবাসেন, তাদের জন্য মেঘালয় আদর্শ গন্তব্য।
মেঘালয় বছরের যেকোনো সময় ঘুরতে যাবার মতো। তবে পূজোর সময়ে প্রচন্ড ভিড় থাকে। আর বর্ষায় যেতে চাইলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে; যেমন রেইনকোট, ছাতা ইত্যাদি। চেরাপুঞ্জিতে বর্ষায় প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে দৃষ্টিসীমা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে তাপমাত্রা ৩-১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে, তবে শিলঙে তুষারপাত হয়না।
শিলং শহরের প্রাণকেন্দ্র হল পুলিশবাজার – এখানে প্রচুর হোটেল আছে। ভাড়া ৫০০-২০০০ রুপী।
শিলং পুলিশ বাজারের আশেপাশে অনেকগুলো খাবার-হোটেল আছে। সেখানে ভাত-মাছ পাওয়া যায়। জনপ্রতি খরচ ১০০-১৫০ রুপী। এছাড়া সাবওয়েসহ আরও কয়েকটি চেইন রেস্তোরাঁ আছে যেগুলোতে ২০০-৩০০ রুপীতে খাওয়া যায়।
শিলং পৌঁছাতে যদি দুপুর গড়িয়ে যায় তবে সেদিন আর কোথাও না যেয়ে বরং বিকেলটা শিলং শহরে ঘোরাঘুরি করে কাটাতে পারেন। কিংবা বিকেলে উমিয়াম হ্রদেও ঘুরে আসতে পারেন অথবা ডন ভসকো জাদুঘর, ওয়ার্ড হ্রদ দেখে সময় কাটাতে পারেন। সন্ধ্যাটা রেখে দিন কেনা কাটার জন্যে।
আপনার হাতে যদি সময় থাকে আরও অনেক গুলো জায়গা ঘুরতে যেতে পারেন: এশিয়ার সবচেয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন গ্রাম। লিভিং রুট ব্রীজ। অনেকগুলো জাতীয় উদ্যান।
খরচঃ জনপ্রতি ১২,০০০ টাকা (১৫০ ডলার) যথেষ্ট শিলং ভ্রমণের জন্য। এর মাঝে বাস ভাড়া ও ভিসার ৫,০০০ টাকা বাদ দিলে ঘুরাঘুরি, থাকার খাওয়ার জন্যে বরাদ্দ৭,০০০ টাকা।