ভারতের বিজনেস ভিসা (Indian Business Visa) বা ব্যবসায়িক ভিসায় প্রতিদিনই অসংখ্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ভারতে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ ভারত পাশাপাশি দেশ হওয়ায় এই দুই দেশের ব্যবসা বানিজ্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যপক অবদান রাখে। বিশেষ করে ভারতীয় পন্যের চাহিদা বাংলাদেশে ব্যাপক। বিশেষ করে ভারতীয় শাড়ি, ত্রিপিছ, কসমেটিকস, মসলা ইত্যাদি পন্যের ব্যাপক চহিদা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশে।
আর তাই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী আমদানী লাইসেন্স এর মাধ্যমে ভারত থেকে পন্য আনা নেওয়া করে থাকেন। আপনিও যদি চান এই ধরনের বা অন্য যে কোন ব্যবসায়িক কাজে ভারতে যাবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিজনেস ভিসা বা ব্যাবসায়িক ভিসা নিতে হবে।
ভারতের বিজনেস ভিসা (Indian Business Visa) করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলো। মুলত যারা ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদেরকে এই ভিসা নিতে হবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসা ছাড়া বাকি সকল ভিসার জন্য আপনি ভারতে যেতে পারবেন।
১. পাসপোর্ট: ভিসার আবেদন জমা প্রদানের দিন থেকে আপনার পাসপোর্টটিতে কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। এবং অবশ্যই পাসপোর্ট এ দুইটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. আপনার যদি পুরোনো কোন পাসপোর্ট থাকে তা অবশ্যই জমা দিতে হবে ভিসা আবেদনের সাথে।
৩. সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সম্বলিত ২*২ সাইজের একটি রঙ্গীন ছবি জমা দতে হবে।
৪. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনের সনদ জমা প্রদান করতে হবে।
৫. আপনার প্রুফ অফ রেসিডেন্সী প্রমানের জন্য বিদ্যুৎ বিলের কপি/ গ্যাস বিলের কপি/ টেলিফোন বিলের কপি জমা প্রদান করতে হবে।
৬. প্রত্যেক আবেদনকারীকে কমপক্ষে ১৫০ ডলার যে কোন রেজিস্টার্ড ব্যাংক থেকে এনডোর্স করাতে হবে। এবং এনডোর্সমেন্টটি আবেদনের তারিখ থেকে ৩ মাসের বেশী পুরোনা হওয়া যাবেনা। অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে ২০০০০ বিশ হাজার টাকা ব্যালেন্স থাকলে ভালো) অথবা ইন্টারন্যঅশনাল ক্রেডিট কার্ড সমপরিমান লিমিট বা তার বেশী।
৭. পেশার প্রমান স্বরূপ যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন:
সরকারী চাকুরীজীবী হলে: সরকারী আদেশ এর কপি।
বেসরকারী চাকুরীজীবী হলে: প্রতিষ্ঠানের (এনওসি) বা নো অবজেকশন সাটির্ফিকেট।
ব্যবসায়ী হলে: ট্রেড লাইসেন্স
ছাত্র হলে: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইড কার্ড
অবসরপ্রাপ্ত হলে: অবসরের কাগজ
8. যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর হয়ে ভারতে যান তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী থেকে একটি চিঠি লাগবে যেখানে আপনারে পদবী, ভ্রমনের উদ্দেশ্য এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পূর্ন ঠিকানা থাকবে।
৯. ভারতের কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা সংস্থা থেকে একটি ইনভাইটেশন লেটার লাগবে।
১০. বাংলাদেশের কোন চেম্বার অফ কমার্স থেকে সদস্যার প্রমান সহ রিকমেন্ডশন লেটার লাগবে।
১১. বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স এবং টিন সাটিফিকেট
১২. কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নামে গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
১৩. যদি ভিসা আবেদনকারী ব্যাক্তি আমদানীকারক বা রপ্তানীকারক হয় তাহলে নিন্মের ডকৃুমেন্টস গুলো লাগবে:
ক. আইআরসি এবং ইআরসি (ইমপোর্ট বা এক্সপোর্ট এর লাইসেন্স)
খ. আমদানির ক্ষেত্রে এলসি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে টিটি (টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার) যেখানে ভারতের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজনেস ট্রানজেকশন পেন্ডিং অবস্তায় আছে।
১৪. আবেদনকারীর কোন লিমিটেড কোম্পানী থাকলে মেমোরোন্ডাম, আটির্কেল এবং সাটির্ফিকেট অফ ইনকপোর্রেশন জমা দিতে হবে।