পৃথিবীর শেষ সীমানা কোথায় জানতে চান? চলুন জেনে নেই প্রাইকেস্টোলেন নরওয়ের একটি বিশেষ জায়গা সম্পর্কে । দু্ই পাশে উচু পাহাড় আর মাঝখানে সরু খাল যা কিনা সমুদ্রের সাথে মিশেছে। সাধারন মানুষের কাছে এটি পৃথীবির শেষ প্রন্ত হিসেবে পরিচিত। ইংরেজীতে এই জায়গাটিকে বলা হয় পুলপিট রক। এটি নরওয়ের একটি সেরা দর্শনীয় স্থান। একুশ শতকের গোড়ার দিকে এই জায়গায় পর্যটন বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০। বেস জাম্পাররা প্রায়শই প্রাইকেস্টোলেন খাড়া পাহাড় থেকে লাফ দেয়।
প্রাইকেস্টোলেন নামকরন হয় ১৯০০ সালের দিকে। প্রাচীন স্থানীয়দের কাছে হ্যাভলাটোন নামে পরিচিত। ১৯০০ শতকে স্থানীয় পর্যটন সংস্থা স্টাভ্যাঞ্জার তুরিস্টফোরিংট্রেকিংয়ের জন্য উন্মক্ত করে দেয়।
প্রাইকেস্টোলেন খুব ঝুকিপূর্ন এরিয়া হলেও ২০১৩ সাল অব্দি কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।২০০০ সালে ফেব্রুয়ারীতে একজন অস্ট্রিয়ান মহিলা এবং একটি নরওয়েজিয়ান ব্যক্তি আত্মহত্যা চুক্তি করার পরে ক্লিফ থেকে একসাথে লাফিয়ে যৌথভাবে আত্মহত্যা করেছিল। ২০০৪ সালের অক্টোবরে, একটি অল্প বয়স্ক জার্মান দম্পতি আত্মহত্যা করার জন্য পাহাড়ে যাচ্ছিল কিন্তু এই কাজটি করার আগে নরওয়েজিয়ান কর্তৃপক্ষ তাকে থামিয়ে দিয়েছিল। ২০১৩ সালের একজন স্প্যানিশ পর্যটকে প্রথম দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তি হিসেবে ধরা হলেও পরে জানা যা সেটিও আত্মহত্যা ছিল।কারন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুর্ঘটনার আগেই সুইসাইড নোট পোস্ট করা হয়েছিল।
প্রাইকেস্টোলেন ১০০০০ বছর আগে বরফজমে হিমবাহের প্রভাবে তৈলী হয়েছিল। অতিতে প্যাগাম ধর্মর লোকেদের একটি উপসনালয় ছিল।
মজার ফ্যাক্ট
১. এখানকার বাতাস বিসুদ্ধ বলে বোতলজাত করে বাতাস বিক্রি করা হয়। ৮ লিটার বোতলের বাতাসের মূল্য ১৫০০ টাকা।
২. প্রকৃতিক সৌন্দার্য ধরে রাখার জন্য ঝুকি প্রবন এলাকা হওয়া সত্বও কোন বেস্টনী দেওয়া হয় নি।
৩. মিশন ইমপসিবল মুভির বেশ কিছু চিত্র ধারন করা হয়েছে এই প্রাইকেস্টোলেন ।
প্রাইকেস্টোলেন পৃথীবির অপার সৌন্দার্যর একটি। চাইলে আপনেও ঘুরে আসতে পারেন এমন জায়গা থেকে।