পদ্মা সেতু (Padma Setu Or Padma Bridge) স্রোতসিনি নদী পদ্মার উপর তৈরী হয়েছে বিশ্বের ১২২ তম এবং বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু আমাদের এই পদ্মা সেতু (Padma Bridge)। প্রিয় দর্শক, এটি শুধু একটি সেতু নয়। এই সেতু বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালী জাতীর সামর্থে্যর প্রতীক। বাঙ্গ্লী আর বাংলাদেশের মান রক্ষার আইকন এই সেতু। ভবিষ্যৎ এর উন্নত বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে রবে আমাদের এই পদ্মা সেতু।
এই সেতুর পাড়ে দাড়িয়ে যে কারো গর্ব করে বলতে ইচ্ছে হবে। “WE DID WE CAN”
এপাড়ে মাওয়া অর্থাৎ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এর সাথে ওপাড়ে মাদারীপুর শরীয়তপুর জেলাকে একত্রিত করেছে আমাদের ভালেঅবাসার পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর মুল সেতুর দৈর্ঘ 6.15 কিলোমিটার, সেই সাথে রয়েছে ৬.১৪৮ কিলোমিটার এর ভায়াডাক্ট এবং ১২.১১৭ কিলোমিটার এর এপ্রোচ সড়ক।
এই সেতুটি নির্মান করতে গিয়ে সরকারকে প্রায় ১৪৭১ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করতে হয়েছে। USD 3.868 Billion
রেল ও সড়ক উভয় যান চলাচলের সুবিধা নিয়ে তৈরী হয়েছে এই পদ্মা সেতু। এই সেতু চালু হলে দেশের জিডিপি কে ১.২ ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তাই দেশের সামগ্রকি উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে এই পদ্মা সেতু। চায়না রেলওরেয় মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কে ঠিাকাদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয় এই ব্রিজ নির্মানের জন্য। ইতমধ্যেই এই পুরো পদ্মা সেতু প্রকল্প এর ৮৯% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবা কিছু ঠিক থাকলে আশা করা যায় এ্ বছরের ই জুনে খুলে দেওয়া হবে। বহুল প্রতিক্ষার, বহু আবেগের, ভালোবাসার, শক্তি ও সামথ্যের প্রতীক আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
প্রিয় দর্শক সেতুটুকে কাছ থেকে দেখতে তাই আজ চলে আসলাম মাওয়া প্রান্তে। ভবিষৎ এর বাংলাদেশের আর এক পর্যটন হাব হয়ে উঠবে পদ্মা সেতুর দুই পাড়্ সেই সাথে মাওয়া ঘটে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে দুর দুড়ান্ত থেকে পর্যটক ভির জমাবে এই যায়গায় । তাই, চলুন দেখে নেই আজকের এই ভিডিওটি।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়া গামী যে কোন বাসে সহজেই চলে আসতে পারবেন এই মাওয়া পদ্মার পাড়।
যেতে যেতে অবাক হয়ে দেখবেন দৃস্টিনন্দন মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে (Mawa Expressway)। আর মনের অজান্তেই ইউরোপের কোন সড়কের সাথে তুলনা করে ফেলবেন। হ্যা সত্যিই, এই রাস্তাটি দেখলেই বলা যায় আগামীর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কেমন হতে চলেছে।
প্রিয় দর্শক আপনার আমার দেশের প্রতিটি মানুষের সামগ্রিক অবদান এর বিনিময়ে নির্মিত হচ্ছে আমাদের এরই পদ্মা সেতু। দেশের দিনমজুর থেকে খেটে খাওয়া প্রতিটি মানুষের টাকায় নির্মিত হচ্ছে এই পদ্মা সেতু। এই সেতু দেশের ১৮ কোটি জনগনের সেতু। এই দুস্টিনন্দন রাস্তাটি আপমার আমার আমাদের সবার সম্পদ।
আজকের বিডিওতে আমাদের একটাই পত্যাশা আমাদের আগামীর এই সম্পদ কে আমরা কোনভাবেই নস্ট করবনা। যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে এই সম্পদগুলো কে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই।
মাওয়ার মোড় থেকে হাতের বা দিকে গেলে মাওয়া মাছের আড়ৎ আর মাওয়া বাজার দেখতে পাবেন।
এখান দিয়ে একটি রাস্তা চলে গেলে পদমা পারে। পদ্মা পাড়ে এখন চলছে পাড়ে ব্লক ও দৃস্টিনন্দন করার কাজ। এই জায়গাটি পর্যটন হাব হিসাবে গড়ে ওঠবে। এখএন স্থাপন হবে হোটেল, মোটেল রেস্তোরা।
পদ্মার পার থেকে মাওয়া ঘাটের ইলিশের স্বাদ নিতে আমরা চলে এলাম শিমুলিয়া ফেরী ঘাট। এখানে লাইন দিয়ে এক সিরিয়ালে রয়েছে অসংখ্য খাবারের দোকান। বিষয়টি বেশ ভালো রেখছে। আগের মত যেখানে সেখানে দোকান পাট নেই।
কদিন আগেই এখানে যে রেস্টুরেন্ট এর নিয়ে ছিল ব্যাপক আলোচনা। সেই রেস্টুরেন্ট এ এখন লোক নেই বললেই চলে। হ্যা বলছি হিলশা প্রজেক্ট এর কথা। চড়া দাম আর বাজে খাবারের কারনে ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্ট লস প্রজেক্টে রূপান্তর হয়েছে।
যাই হোক আজ আমরা যে রেস্টুরেন্ট এ ঢোকার সিদ্ধান্ত নিলাম ত হলো শখের হাড়ি রেস্টুরেন্ট। বাইরে দেখতে যেমন সুন্দর ভেতরটাও তেমনি বড়। টয়লেটটি ছিল বেশ পরিস্কার পরিছ্ন্ন।
সুপ্রিয় দর্শক এবারে ফেরার পালা আবার দেখা হবে নতুন কোন পর্বে নতুন কোন স্থানে সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আলল্লাহ হাফেজ।