নিউজিল্যান্ড…. প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য্যের আধার এ দেশটি। ইতিহাস আর ঐতিহ্য সম্বলিত এ দেশটিতে আছে ঘন বন, পাহাড়,সমুদ্র আর অঞ্চল ভেদে আবহাওয়ার তারতম্য। এটি দক্ষিন-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপ-রাস্ট্র। মানচিত্রে অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি মনে হলেও এটি আসলে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে ২০০০ কিলোমিটার দুরে তাসমান সাগরে অবস্থিত।
২ লক্ষ ৬৮ হাজার ২১ বর্গকিলোমিটার আয়াতনের এ দ্বীপ রাস্ট্রটি মুলত দুটি প্রধান বৃহত্তর দ্বীপ নিয়ে গঠিত, একটি হচ্ছে উত্তর দ্বীপ অন্যটি হল দক্ষিন দ্বীপ । কুক প্রনালী নামে অপেক্ষাকৃত সরু সামুদ্রিক প্রনালী দ্বীপ দুটিকে পৃথক করেছে। এছাড়াও অসংখ্য দ্বীপ রয়েছে নিউজিল্যান্ডে ,তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি দ্বীপ হচ্ছে স্টুয়ার্ট দ্বীপ ও চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জী। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন। তবে অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর। আর এ দুটি শহরই উত্তর দ্বীপে অবস্থিত। নিউজিল্যান্ডের উভয় দ্বীপেই পাহাড়-পর্বত দ্বারা বেস্টিত। এসব পর্বতগুলো মহাসাগরীয় আদ্রবায়ুগুলিকে ধরে রাখে যার ফলে প্রায়ই চারপাশে ঘন কুয়াশার মত মেঘ দেখা যায়। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিন দ্বীপে দক্ষিন আল্পাস পর্বত অবস্থিত।
১২৫০ থেকে ১২৮০ সালের মধ্যে পলিনেশিনরা বিভিন্ন দ্বীপে বসতি স্থাপন শুরু করে এবং মাওরি সংস্কৃতি গড়ে তোলে। ১৮৪১ সালে এই দ্বীপ রাস্ট্রটি ব্রিটিস উপনিবেশে পরিনত হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে নিউজিল্যান্ড পূর্ন স্বাধীনতা লাভ করে। মাওরি জনগোষ্ঠি বেশি থাকলেও বর্তমানে ইউরোপিয় বংশদ্ভুত, এশিয়ান ও প্রসান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ জনগোষ্ঠিরা বসবাস করছে।
নিউজিল্যান্ড উন্নত দেশগুলির মধে একটি। জীবনযাত্রার মান , চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা বানিজ্য সহ অন্যন্য সুযোগ সুবিধায় উন্নত হওয়ায় এটি মানব উন্নায়নের সূচক হিসেবে নিউজিল্যান্ড পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৮০ সালে দেশটির সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটে মুক্ত বানিজ্যের কারনে।
নিউজিল্যান্ডের রাস্ট্রপ্রধান ইংল্যন্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তবে প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী সকল ক্ষমতার অধিকারী।
নিউজিল্যান্ড নিয়ে মজার ফ্যাক্ট আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
ফ্যাক্ট নং-০১ ভেড়া পালনের নীতি
নিউজিল্যান্ডে প্রত্যেক ব্যক্তি ৯ টি করে ভেড়া পালন করে, সেক্ষেত্রে সে দেশের জনসংখ্যা যদি হয় ৪.৮ মিলিয়ন তবে ভেড়া থাকবে ৪৩ মিলিয়নেরও বেশি।
ফ্যাক্ট নং-০২ গলফের রাজ্য
গলফ খেলা যাদের প্রিয় তাদের জন্য নিউজিল্যান্ড ভ্রমন পারেফেক্ট একটি জায়গা। কারন এখানে রয়েছে প্রায় ৪০০ গলফ ক্লাব।
ফ্যাক্ট নং-০৩ বাঙ্গি জাম্পিং
বাঙ্গি জাম্পিং যাদের প্রিয় খেলা নিউজিল্যান্ড তাদের জন্য র্সগ উদ্যান। ১৯৮৮ সালে কুইন্সটাউনের কাওড়াউ ব্রিজে এজে হ্যাকেট প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে বাঙ্গি জামম্পিং করেছিলেন। আর তখন থেকেই এই খেলা ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
ফ্যাক্ট নং-০৪ স্বচ্ছ পানির লেক
নিউজিল্যান্ড এ রয়েছে পৃথিবীর সবচাইতে স্বচ্ছ পানির লেক। এই লেকের পানি এতই স্বচ্ছ যে প্রায় ৮০ মিটার গভীর পর্যন্ত দেখা যায়।
ফ্যাক্ট নং-০৫ পৃথিবীর সর্বদক্ষিনের রাজধানী
নিউজিল্যান্ড এর ওয়েলিংটন পৃথিবীর সর্ব দক্ষিনের রাজধানী। তার মানে এর পেরে পৃথিবীর দক্ষিন দিকে আর কোন রাজধানী অবশিষ্ট নেই।
ফ্যাক্ট নং-০৬ নিউজিল্যান্ড পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা ১৮৯৩ সালে নারীদের ভোটাধিকার নিশ্তিত করেছিল।
ফ্যাক্ট নং-০৭ ভৌগলিক কারনে চিলি এবং আজের্নটিনার পর এন্টারটিকা মহাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড পৃথিবীর ৩য় নিকটতম দেশ।
ফ্যাক্ট নং-০৮ সাপবিহীন দেশ নিউজিল্যান্ড। হ্যা প্রিয় দর্শক শুনতে অবাক হলেও নিউজিল্যান্ড এমন এক দেশ যেখানে কোন সাপ নেই। এবং এই দেশে সাপ অবৈধ।
ফ্যাক্ট নং-০৯ আপনি জাননে কি মাইন্ট এভারেস্ট জয়ী স্যার এডমন্ড হিলারী কিন্তু এই দেশেরই বংশদ্ভুদ।
ফ্যাক্ট নং-১০ বিশ্ববিখ্যাত মুভি লর্ড অফ দা রিংস এর স্যূটিং হয়েছে এই নিউজিল্যান্ডে।
Last But Not The List নিউজিল্যান্ড বাসীদের বলা হয় কিউই। এই কিউই নামে এই দেশে একটি পাখি রয়েছে যারা প্রকৃত পক্ষে উড়তে পারেনা। এছাড়া কিউই নামে এই দেশে একটি ফল রয়েছে যদিও এই ফলের জন্মস্থান চায়নাতে।
প্রিয় দর্শক এই ছিল নিউজিল্যান্ড নিয়ে আমাদের আজকের পর্ব আশা করছি আজকের পর্বটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আমার চ্যানেলে ভিডিওগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আমার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন। সেই সাথে নতুন নতুন ভিডিওর আপডেট পেতে পাশে থাকা বেল আইকনটিতে ক্লিক করুন। আল্লাহ হাফেজ।