নরওয়ে….. পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ন দেশ নরওয়ে কে বলা হয় নিশীত সূযের্র দেশ।রহস্যঘেরা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দাযের্র আধার নরওয়ে । উত্তর ইউরোপের পশ্চিমে অবস্থান এ দেশটির আয়তন ৩৮৫,২৫২ বর্গ কিলোমিটার ।নরওয়ের পূর্বে সুইডেন, দক্ষিণে ফিনল্যান্ড ও পশ্চিমে রাশিয়া অবস্থিত। নরওয়ের রাজধানী অসলো এটি নরওয়ের সবচেয়ে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ন শহর। সরকারী অফিস আদালত এবং গুরুত্বপূর্ন প্রতিস্ঠানগুলো অসলোতে অবস্থিত।১০৪৮ সালে প্রতিস্ঠিত অসলো একসময় জলদস্যুদের আবাসস্থল ছিল।নরওয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নিরপেক্ষ ছিল।তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে দেশটি জার্মানি আক্রমণ করেছিল এবং দখল করেছিল।
বিশ্বজুরে স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ গুলোর মধ্যে নরওয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারন মধ্যরাতের সূযের্ দেশ হিসেবে পরিচিত থাকলেও নরওয়েতে দেখতে পাওয়াযায় রুপকথার মত অরোরা বোরিয়ালিস আর প্রকৃতিক সৌন্দর্য ।নরওয়ে বছরের আট মাস বরফের নিচে ঢাকা থাকে। বছরের দুই মাস এখানে সূর্য ওঠে না। নভেম্বরের ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারির ২১ তারিখ পর্যন্ত সময়টাকে তাই ডার্ক পিরিয়ড বলা হয়। এই সময় আকাশে নর্দার্ন লাইট বা অরোরা বোরিয়ালিস দেখা মেলে। আকাশে লাল, সবুজ রঙের আলোর খেলা। এই অরোরা দেখতে অনেক পর্যটক এই সময়ে এখানে আসেন। আর বছরের দুই মাস এখানে আবার সূর্য অস্ত যায় না। মে র ২১ তারিখ থেকে জুলাইয়ের ২১ তারিখ। এই সময়টাকে বলা হয় মিডনাইট সানের সময়। কারণ রাত ২টার সময়েও ঝকঝকে রোদ দেখা যায়।
নরওয়ের আরেকটি সৌন্দাযের্ উৎস হচ্ছে সমুদ্রখড়ি বা ফিয়র্ড । বরফ যুগের শেষে এর উপত্যকা এবং সংকীর্ন খড়ি গুলো সমুদ্রের পানিতে ডুবে যায় আর এগুলোই প্রকৃতির অপার সৌন্দায্যের্ সৃস্টি করে।নরওয়েতে আছে হাজার হাজার হ্রদ।।ইউরোপের সবচেয়ে গভির হ্রদ নরওয়েতে অবস্থত। এর আয়তন৫১ বর্গকিলোমিটার আর গভিরতা ৫১৪ মিটার।এসব হ্রদে পাওয়া যায় সুস্বাদু স্যামন মাছ যা ১০০ টি র ও বেশি দেশে নরওয়ে রপ্তানি করে।
মধযুগে ১২শ থেকে ১৩ শতকের দিকে নরওয়েতে ১০০০ টি স্টাইভ চার্চ নির্মান করা হয়।১৯শ শতক শেষ পর্যন্ত ১৫০ টির মত টিকে ছিল তবে ধর্মীয় আন্দোলনের কারনে অনেক গুলো চার্চকে ধ্বংশ করে ফেলা হয়।তবে এখন পর্যন্ত টিকে আছে মাত্র ২৮ টি। এদের মধ্যে আন্সর্ স্টাইভ চার্চটিকে ইউনিস্কো ওয়াল্ডর্ হেরিটেজ সাইড হিসেবে স্বিকৃতি দিয়েছে। নরওয়েতে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সুরঙ্গ পথ যার আয়তন ২৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।এই সুরঙ্গ পথটি ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এর মধ্যে তিনটিকে রঙ্গিন আলোয় সাজ্জিত করা হয়েছে যাতে চালকের একগেয়েমী না আসে ।প্রতিবছর আলফ্রেট নভেলের মৃত্যুবাষিকীতে অসলোর বিশ্ববিখ্যত ইউনির্ভসির্টি সিটি হল থেকে নোভেল শান্তি পুরুস্কার দেওয়া হয়।
তেল ওগ্যাস সমৃধ্দ রাস্ট্র, ৮০০ আব্দ থেকে ১০৬৬ সাল পর্যন্ত ভাইবকংদের রাজত্ব ছিল ।মুলত ৭৯৩ খৃস্টব্দে ভাইকিংদের সূচনা হয় আর শেষ হয় ১০৬৬ সালে সট্যামফোর্ড ব্রিজ যুদ্ধের মাধ্যমে। রাজা হেরাল্ড এ বাহীনিকে পরাজিত করে এরপরে রাজতন্ত্রের সূচনা হয়। নরওয়েজিয়ান এবং সামী দুটি প্রধান ভাষা থাকলেও সরকারী ও ওন্যান্য কর্মকান্ডে নরওয়েজিয়ান ভাষার ব্যবহারই বেশী।
ফ্যক্ট :
যেহেতু নরওয়ের অবস্থান ইউরোপে, সেক্ষেত্রে আকাশ পথই একমাত্র ভরসা। ঢাকা থেকে নরওয়ে ভ্রমণ করতে হলে প্রথমেই ভিসা নিয়ে নিতে হবে। পর্যটক হিসেবে আপনি ৯০ থেকে সর্বচ্চ ১৮০ দিনের ভিসা পেতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এমব্যাসি অফ ডেনমার্ক (বাংলাদেশ ডেনমার্ক এম্বেসি) নরওয়ের হয়ে ভিসার ব্যাপার গুলো দেখাশোনা করে থাকে। তাই নরওয়ে ভিসার জন্যে ডেনমার্ক এম্বেসিতে আবেদন করতে হবে।
ঢাকা থেকে নরওয়ে এর দূরত্ব ৭,৩০০ কিলোমিটার এর মত। ভাড়া সাধারণত ৭০,০০ -৭১,০০০ বাংলাদেশী টাকা থেকে শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশ, জেট এয়ারওয়েজ, কে এল এম রয়্যাল ডাচ, ইতিহাদ ও এমিরেটস এর মত বিমান সংস্থাগুলো ঢাকা নরওয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
উল্লেখ্য এই যে ঢাকা নরওয়ে নিমান ভাড়া অন্য রুটের মতই সদা পরিবর্তনশীল। যেকোন মুহূর্তে ভাড়া কমতে বা বাড়তে পারে। এই বিষয়ে বিমান সংস্থার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।