দার্জিলিং ও মিরিক ভ্রমণে ট্রাভেলারস টিম বিডি (Travelers Team BD) TTB গ্রুপ।
দার্জিলিং এর সৌন্দর্য্য নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই. পাহাড়ী রুপ-মাধুর্য্যে মন হারিয়ে যাবার মতো সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই দার্জিলিং।
এখানে পাহাড় আর মেঘের যেন মিতালী চলে সারাক্ষণ, প্রায় সাত হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত দার্জিলিং যেন পর্যটক স্বর্গ আর হবেই না কেন দার্জিলিং এর পাহাড়ী সৌন্দর্য্য পর্যটকদের মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ, সেজন্য পর্যটকরাও ছুটে আসে বার বার দার্জিলিং এর টানে।
আমাদের এই ট্যুরটি বাংলাবান্ধা / চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার দিয়ে করা হবে। কারো অন্য পোর্ট থাকলে সমস্যা নেই মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে পোর্ট এড করা যাবে।
# দার্জিলিং নিয়ে আমাদের প্লানঃ
যাত্রা শুরু : ৪ আগস্ট রাত আটটার বাসে কল্যাণপুর ঢাকা থেকে।
যাত্রা শেষ : ৯ আগস্ট সকালে ঢাকা এসে নামবো।
# দার্জিলিং এ আমরা তিন-চারদিনে ঘুরবো :
১। জাপানিজ পিস টেম্পল
২। জাপানিস সিস প্যাগোডা
৩। রক গার্ডেন
৪। হিমালয়ান মাউন্টেনারিং ইন্সটিটিউট
৫। হিমালয়ান রেল স্টেশন
৬। টি গার্ডেন
৭। মিউজিয়াম
৮। চিড়িয়াখানা
৯। ক্যাবল কার (রোপওয়ে)
১০। কাঞ্চনজঙ্ঘা
১১। টয় ট্রেন (রাইড নিজ খরচে করা যাবে)
১২। টাইগার হিল
১৩। বাতাসিয়া লুপ
১৪। ডালি মনেষ্ট্রি
১৫। ঘুম স্টেশন
১৬। তেনজিং রক
১৭। মিরিক লেক
# ট্যুর ফী :
> ভ্রমণ খরচঃ ১৫৯৯৯ টাকা জনপ্রতি ( ৩জন শেয়ার ব্যাসীস)
> ভ্রমন খরচঃ ১৬৯৯৯ টাকা জনপ্রতি (২জন শেয়ার ব্যাসীস/ কাপল)
# এই টাকার মধ্যে যা যা অর্ন্তুভুক্তঃ
* ঢাকা-শিলিগুড়ি-ঢাকা (এসি বাসের টিকিট)
* সব ধরনের ট্রান্সপোর্ট খরচ
* ঘুরে বেড়ানোর জন্য ট্রান্সপোর্ট
* ৫ তারিখ সকাল থেকে ৮ তারিখ বিকেল পর্যন্ত প্রতি দিন ৩ বেলা খাবার খরচ।
* সকল ধরনের এন্ট্রি ফি।
* হোটেল খরচ।
* একজন হোষ্ট যিনি পুরো ট্যুরে সার্বক্ষনীক সাথে থাকবেন।
* গাইডেন্স।
# যা অন্তর্ভুক্ত নয় :
– যেকোন ব্যক্তিগত খরচ
– ভিসা ফি (৮২৪ টাকা)
– সরকার নির্ধারিত ট্রাভেল ট্যাক্স (৫০০ টাকা)
– ট্যুর ফী এর অর্ন্তুভুক্ত নয় এমন যেকোন খরচ ।
– বাস বিরতির সময় খাবার
– বর্ডারে কোন ধরনের স্পিড মানি
– টুরিস্ট স্পটে কোন ধরনের রাইড খরচ
# কনফার্ম করবেন যেভাবে :
মৌখিক কনফার্মেশন গ্রহনযোগ্য নয়, অগ্রিম টাকা পাঠিয়ে কনফার্ম করতে হবে।
ট্যুর কনফার্মেশন করার জন্য আপনাকে ৫০০০ টাকা জমা দিয়ে ট্যুর কনফার্ম করতে হবে (অফেরতযোগ্য), এক্ষেত্রে বিকাশ/ব্যাংক/বা অফিসে এসে সরাসরি জমা দিতে পারবেন। বিকাশ 013310335990 পার্সোনাল। বিকাশ পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ৫১০০ টাকা পাঠাতে হবে। অথবা আমাদের অফিসে এসেও টাকা জমা দিতে পারেন। অথবা ব্যাংকেও পাঠাতে পারেন।
# ভিসা :
দার্জিলিং ভ্রমনের জন্য আপনাকে অবশ্যই চ্যাংড়াবান্ধ্যা/ফুলবাড়ী বর্ডার দিয়ে ভিসা করা থাকতে হবে। যাদের এই পোর্ট এ ভিসা করা আছে তারা দ্রুত বুকিং মানি পাঠিয়ে আপনার প্যাকেজটি কনফার্ম করে ফেলুন। আর যাদের ভিসা করা নাই তাদের ভিসা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগীতা করবো।
# ভারতীয় ভিসা করার জন্য যেসকল কাগজপত্র লাগবেঃ
১। মিনিমাম ৬ মাস মেয়াদি পাসপোর্ট
২। বর্তমান বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি/গ্যাস বিলের কপি/পানি বিলের কপি
৩। ব্যাংক স্টেটমেন্ট (মিনিমাম ২০,০০০ টাকা থাকতে হবে)। ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে ডলার এন্ড্রোসমেন্ট (১৫০ ডলার)
৪। চাকুরীজিবীদের ক্ষেত্রে NOC, ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে GO.
৫। জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধনের কপি।
৬। ২*২ সাইজের ছবি।
৭। পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটাও সাথে জমা দিতে হবে।
৮। ভিসা আবেদন ফর্ম।
# বিস্তারিত ট্যুর প্লান :
দিন ০ (৪/৮/২২)
রাতে কল্যানপুর বাস কাউন্টার থেকে বুড়িমারী/বাংলাবান্ধা বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা।
দিন ১ (৫/৮/২২)
সকালে বর্ডারে পৌছে সকালের নাস্তা সেরে নিবো। বর্ডারের সকল ফর্মালিটিজ শেষ করে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। বর্ডারে ইমিগ্রেশন এ বেশ কিছু সময় লাগবে। শিলিগুড়ি পৌছে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাবো। খাবার শেষে টাটা সুমোতে করে দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাটাই হবে আপনার জন্য বিস্ময়ের কিছু যা ট্যুর শেষে মনে রাখবেন। দার্জিলিং পৌছে পুর্ব নির্ধারিত হোটেলে চেক ইন। হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাবো। রাতের খাবার শেষে আবারো হোটেলে ফিরে আসবো।
দিন ২ (৬/৮/২২)
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পুর্ব নির্ধারিত গাড়িতে করে সাইট সিয়িং এ বের হবো। প্রথমে চলে যাবো জাপানিজ টেম্পল এ। সেখান থেকে চলে যাবো রক গার্ডেন এ। যাওয়ার পথটা কেমন হবে সেটা না হয় গিয়েই দেখবেন। রক গার্ডেন ঘুরে চলে আসবো শহরে। দুপুরের খাবার শেষ করে একে একে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট, জুওলজিক্যাল পার্ক, রোপওয়ে, তেনজিং রক ঘুরে দেখবো। সন্ধ্যার মধ্যে হোটেলে ফিরবো। সন্ধ্যাটা নিজের মত কাটাবো, চাইলে নিজের মত শপিং করতে পারেন। রাতের খাবার খেয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বো কারন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
দিন ৩ (৭/৮/২২)
ভোর ৪টা নাগাদ গাড়ি হোটেল এর সামনে চলে আসবে। এবারের গন্তব্য টাইগার হিল। টাইগার হিল থেকে সকালের সুর্যোদয় ও বহুল প্রতিক্ষীত কাঞ্চনজঙ্গা দেখবো। টাইগার হিল এ সবাইকে কফি দেওয়া হবে। তারপর চলে আসবো বাতাসিয়া লুপ, সেখান থেকে চলে যাবো ঘুম মন্সট্রি, ঘুম স্টেশন। টয় ট্রেন দেখে সকালের নাস্তা সেরে হোটেল এ ফিরে আসবো। বিকেলটা সবাই নিজেদের মত ঘুরে বেড়াবেন, চাইলে শপিং করতে পারেন।
দিন ৪ (৮/৮/২২)
খুব সকালে জীপে করে মিরিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। মিরিকেই সকালের নাস্তা সেরে নিবো। মিরিক এ কিছুক্ষন কাটিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। শিলিগুড়ি পৌছে দুপুরের খাবার খেয়ে জীপে করে বর্ডারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। বর্ডারের সকল ফর্মালিটিজ শেষ করে সন্ধ্যার বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। মুলত এখানেই ট্যুরের সমাপ্তি।
দিন ৫ (৯/৮/২২)
ইনশা আল্লাহ সকাল ৭টার মধ্যে ঢাকায় পৌছে যাবো।
# কনফার্ম করার ডেডলাইন :
কনফার্ম করার শেষ তারিখ ১৫ জুলাই (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে), তবে যতদ্রুত কনফার্ম করা যাবে ততই ভালো।
#খাবার দাবার :
খাবারের ক্ষেত্রে হালাল খাবার এর জন্য আমরা হোটেল ইসলামিয়াতে খাওয়াবো দার্জিলিং এ।
# ট্যুর সম্পর্কিত কিছু কথা :
* আপনাকে অবশ্যই মানিয়ে চলা এবং সামাজিক মানুষ হতে হবে কারণ বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ই পারে একটি গ্রুপ ট্যুরকে প্রাণবন্ত করে তুলতে যদি আপনি মনে করেন আপনি সামাজিক নয় এবং সেক্রিফাইস মাইন্ডের নয় তাহলে ট্যুরে আসার আগে্ আরেকবার ভেবে নিবেন অথবা এ্যাডমিনের সাথে কথা বলে নিন
* আমরা টাটা সুমো /মারুতি সুজোকি গাড়ী নিয়ে ঘুরবো সেক্ষেত্রে একটি টাটা সুমোতে লোকাল ১০ জন বসে কিন্তু আমরা কমফোর্টের জন্য ৮ জন করে বসবো। বসার ক্ষেত্রেও সামনে পিছে সবাইকে পরিবর্তন করে বসার মানসিকতা থাকতে হবে।
* ট্যুরে থাকাকালীন সময় ঘুরোঘুরিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে গিয়ে অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতে কিছুটা দেরি হয় এবং অনেক সময় সাধারণ হোটেলে খাবার দাবার সেরে নিতে হয় এই ব্যাপারটা সবাই মেনে নেওয়ার মানসিকতা রাখবেন কারণ ঘুরোঘুরি সবার আগে ।
* ট্যুরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গোলাযোগ, রাস্তায় জ্যাম এসব কারণে কোন সমস্যা হলে সবাই মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা রাখবেন । মনে রাখবেন সবার সহযোগীতায় একটি সুন্দর ট্যুর হয়। প্রাকৃতিক দুযোর্গ, এক্সিডেন্ট বা যানজট এসবের উপরে আমাদের যেহেতু কোন হাত নেই তাই এসব ব্যাপারে অযথা দোষারোপ না করে বরং সিচুয়েশন থেকে বের হবার ব্যাপারে সবার সহযোগীতা কাম্য।
* বাসের আসন কনফার্ম করার ভিত্তিতে বন্টন করা হবে।
* এক্ষেত্রে সবার সহযোগীতা কাম্য । মনে রাখবেন আপনাকে সর্বোচ্চ ভালো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতেই আমাদের প্লানগুলো সেভাবে সাজানো হয় সেজন্য প্রয়োজনমতে প্লান কিছুটা পরিবর্ধন পরিমার্জন করা হলে সেটা পজিটিভ দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকবে।
* বর্ডারগুলোতে অনেক সময় অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে প্লানে কিছুটা সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সবার সহযোগীতা পেলে সবকিছু প্লান মতো করা সম্ভব হবে
* কনফার্ম করার পরও কোন কারণে ভিসা না পেলে বুকিংকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
Facebook Page : https://www.facebook.com/ExpeditionByPalash
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/TravelersTeamBD