তারুয়া সমুদ্র সৈকত বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র। লোকমুখে তারুয়া বিচের প্রচার বেড়েই চলছে। ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার অধীনে ঢালচর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে উঠা তারুয়া দ্বীপের সৌন্দায্য সত্যিই চোখে পড়ার মত। ভোলা শহর থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগারের মোহনায় জেগে উঠা তারুয়া দ্বীপ।বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে ঢালচর থেকে পূর্বদিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের মাঝামাঝি বিছিন্ন তারুয়া দ্বীপ। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শহর থেকে ৫ ঘণ্টার যাত্রাপথ ঢালচরের তারুয়া সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দ্বীপের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
তারুয়া বিচের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে একই সঙ্গে বন ও সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে পলি জমতে জমতে প্রায় ৪০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠেছে তারুয়া দ্বীপ। এরপরে বন বিভাগ নানান ধরনের গছপালা রোপন করলে দ্বীপটি সবুজে ভরে ওঠে। ৩১,৩১ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ২৮.২০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সুবিশাল বনাঞ্চল।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত পাখিদের যেন এক অভয়ারন্য। পাখির কলতানে মুখরিত থাকে প্রায় সবসময় । তবে শীতকালে অতিথি পাখিদের আগমনে পাখির আনাগোনা কিছুটা বেশি থাকে। ভোলা ব-দ্বীপের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ঢালচর, কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তারুয়া বিচে সবসময়ই পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। কোনো হিংস্র পশুর ভয় না থাকলেও বনে রয়েছে শিয়াল, বনবিড়াল, হরিণ, সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। এছড়াও দেখা মিলবে লাল কাকড়ার। হাজার হাজার লাল কাকড়া সাদা বালিতে দৌড়ানের অপুরূপ দৃশ্যের।
জেলা শহর থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। একশত পয়ত্রিশ কিলোমিটার পাকা সড়কের পর পনের কিলোমিটার নৌ-পথ পেরিয়ে সেখানে যেতে হয়।দক্ষিণ আইচার চর কচ্ছপিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকা বা ট্রলার বা স্পিডবোটে যাওয়া যায় তারুয়া দ্বীপে।