শুভ সকাল। তাজিংডং ভ্রমন সিরিজে। নৈসর্গিক পাহাড়ে ঘেরা বান্দরবানের গহীন অরন্যে পাহাড়ী উপজাতিদের গড়ে তোলা ক্ষুদ্র এক গ্রামের নাম শেরকর পাড়া। পাহাড় আর সবুজের এই ভুস্বর্গ শেরকরপাড়া থেকে আপনাদের সকলকে একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি তাজিংডং অভিযান সিরিজের ৫ম পর্ব।
প্রিয় দর্শক, গত ৪ পবের্ আপনারা দেখেনে ঢাকা থেকে থানচি হয়ে বোডির্ পাড়া এবং বোডিং পাড়া থেকে শেরকর পাড়া পর্যন্ত আসার ভ্রমন অভিজ্ঞতা। আজকের পবের্ আপনারা দেখবেন সাজানো গোানো পরিচন্ন তাজিংডং সামিট ট্রাভেলারদের জনপ্রিয় বেইজক্যাম্প শেরকার পাড়ার পাহাড়ী উপজাতীদের বৈচিত্রময় জীবন আর সেই সাথে শেরকর পাড়া থেকে তাজিংডং হয়ে তানচি ফেরতের কাহীনি।
চলুন দর্শক শুরূ কার যাক আমাদরে আজকের পর্ব।
অফিসিয়াল ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের সবোচ্চ শৃঞ্গ তাজিংডং পাহাড়ে নেই কোন স্বীকৃত চিহ্ন। তাই তাজিংডং সামিটে আশা ৯০% ট্রাভেলাররাই স্থানীয় গাইডদের নিদের্শনায় সামিট করে ভুল পাহাড়টিকে। স্থানীয় প্রায় সকলে গাইডই এমনকি শেরকর পাড়া আদিবাসিদেরওে দাবি আমরা যেই সামিট পয়েন্টে আ এটাই হলো মুল তাজিংডং সামিট পয়েন্ট। কিন্তু গুগল আর্থ বা জিপিএস বল ভিন্ন কথা। জিপিএসর তথ্য অনুযায়ী পাশে যেয়ে উচু পয়েন্ট টি দেখনে ওটাই হলো তাজিংডং সামিট পয়েন্ট। কিন্তু এই পয়েন্টে কেন গাইডরা নিয়ে আশে তার কারন খুজতে গিয়ে আমরা বেশ কিছু বিষয় আবিস্কার করি।
প্রথমত
মুলত সাইচল রেঞ্জের এই তাজিংডং ট্রেইল এর তিনটি চুড়া রয়েছে একটি নর্থ, একটি সেন্টাল আর একটি ওয়েস্ট সামিট পয়েন্ট। আমরা যেই সামিট পয়েন্ট এ আছি এটি হলো সেন্টাল সামিট পয়েন্ট আর পাশে যেয়ে উচু চুড়া দেখতে পারেন সেটা হলো নর্থ সামিট পয়েন্ট এবং এই তাজিংডং ট্রেইলের এই তিনটি চুড়ার মধ্যে এই নর্থটাই সবচেয়ে উচু। কিন্তু তাজিংডং এই ট্রেইল চাড়াও বান্দরবানের বাংলাদেশের সীমানায় আরও বেশ কিছু উচু পাহাড় রয়েছে যা উচ্চতায় তাজিংডং থেকেও বড়। যেমন যোগী যোতলাং, সাকা হাফং এচাড়াও আর ও বেশ কয়েকটি দৃশ্যমান চুড়া আছে যা দেখতে তাজিংডং থেকেও বড় মনে হবে।
৫ম পবের্র ভিডিওটি নিচে দেওয়া হলো