জাপান……. উদীয়মান সূযের্র দেশ জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যায়বহুল শহরের একটি। পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাস্ট্র জাপান। ৩,৭৭,৯৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জাপান একটি যৌগিক আগ্নেওগিরির দ্বীপমালা। ৬৮৫২ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত জাপানের চারটি বড় দ্বীপ হল হোনশু,হোক্কাইদো, ক্যুশ এবং শিকোকু। জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তর শহর। জাপানের রাজধানী টোকিও । আর টোকিও বিশ্বের বৃহত্ততম মহানগরীও অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়াও টোকিও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহর।
গবেষণায় জানা যায় জাপানে উচ্চ প্যালিওলিথিক যুগেও জনবসতির অস্তিত্ব ছিল। এই দেশের ইতিহাসে প্রথমে চীনা সাম্রাজ্যের আদিপত্য ছিল। বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রেহে জাপান লিপ্ত ছিল তবে ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এর পরে ১৯৪৭ সালে সংশোধিত সংবিধান গ্রহণ করে জাপান একটি এককেন্দ্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়। জাপানের পাসপোর্ট বিশ্বের ৪র্থ শক্তিশালী পাসপোর্ট এ পাসপোর্ট দিয়ে ১২২ টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমন করা যায়।
জাপানকে ভুমিকম্পের দেশ বললেও ভুল হবে না। কারন এদেশে প্রায়ই ভুমিকম্প হয়ে থাকে।জাপানের দ্বীপগুলি মুলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার আগ্নেয়গিরি অঞ্চলে অবস্থিত । প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলায় অবস্থিত হওয়ার কারনে জাপানে প্রায়শই ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনা ঘটে। উন্নত বিশ্বের মধ্যে জাপানই সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিপদসংকুল দেশ। জাপানে ১০৮টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে ।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তি, যন্ত্রবিদ্যা ও বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় জাপান একটি উন্নত দেশ। জাপানে প্রায় ৭০০,০০০ গবেষক রয়েছেন, তারা ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে সুবিধা পেয়ে থাকে। এই বাজেট বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম বাজেট।এই দেশ থেকে একুশ জন বৈজ্ঞানিক পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।জাপানের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অবদানগুলি ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস, যন্ত্রবিদ্যা, ভূমিকম্প ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবোট, অপটিকস, কেমিক্যালস, সেমিকন্ডাক্টরস ও ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে রয়েছে। বিশ্বে রোবোটিকস উৎপাদন ও ব্যবহারে জাপান অগ্রণী। জাপানের মহাকাশ সংস্থা হল জাপান এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)। এখান থেকে মহাকাশ, ভিন্ন গ্রহ ও বিমান গবেষণার কাজ চলে। রকেট ও উপগ্রহ নির্মাণেও এটি অগ্রণী সংস্থা।