আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদ (Atkandi Nilkuthi Mosque)। নরসিংদী জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে এই নীলকুঠি মসজিদ অন্যতম।
আটকান্দির জমিদার মাওলানা আলিমউদ্দিন বা আলিমউদ্দিন মৌলুভি নামে এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কতৃর্ক নিমীর্ত হয় এই মসজিদটি। জমিদার মাওলানা আলিমউদ্দিন এর রয়েছে এই মসজিদ তৈরী নিয়ে এক রোমাঞ্চকর ইতিহাস যা আপনাদের শোনবো এই মসজিদের মুয়াজ্জেন এর মুখ থেকে। নিচের ভিডিওতে সেই ইতিহাসটি আপনারা জানতে পারবেন।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আটকান্দি গ্রামে মেঘনার শাখা নদীর তীর ঘেসে প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মান হয়েছে এই মসজিদ। এই মসজিদটির গায়ে কোন শিলালিপি নেই বিধায় এটি নির্মানের প্রকৃত সময়কাল জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হয় ১৮০০ শতকের দিকেই নির্মান করা হয় দৃস্টিনন্দন এই মসজিদটি।
মসজিদটিকে তৎকালীন মোঘল স্তাপত্যশৈলীর আদলে নির্মান করা হয়েছে। এক ঝলক দেখলেই মনে হবে যেন তাজমহল দেখছেন। অপূর্ব সুন্দর প্রায় ৩৪ টি কারূকার্যময় গিলান চোখে পড়বে এই আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদে। মোঘল ধাচে তৈরী করা পূরূ দেয়াল, পাথর বসানো মেহরাব এবং কাচঁ কেটে তৈরূী করা নানা রঙ্গের ও ডিজাইনের নকশা মসহজদের ভিতরটাকে করেছে আরো দৃস্টিনন্দন। মসজিদটি আকারে বেশ বড় না হলেও এই মসজিদটিতে রয়েছে ৮ টি গম্বুজ। যার তটি বড় গম্বুজ মুল মসজিদের ভিতর এবং মসজিদের বারান্দার অংশে রাখা হয়েছে ৫ টি ছোট গম্বুজ।
মসজিদে বান্দার সামনেই রাখা হয়েছে বড় পাকা উঠান। আর বারান্দা দিয়ে রয়েছে ৫ টি প্রবেশদ্বার। এছাড়াও মুল মসজিদে ঢোকার জন্য দুই পাশে দুইটি ছোট দরজা রয়েছে।
প্রিয় দর্শক, মসজিদটি বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তির আওতায় রয়েছে। কোন প্রকার সংস্কার বা রং করা ছাড়াই এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। মসজিদের মুয়াজ্জেন এর ভাষ্য অনুযায়ী এই নিদশর্নটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এখানে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন। চলুন শুনে আসি তার মুখ থেকেই। (ভিডিওটি দেখুন)
কিভাবে যাবেন এই মসজিদেঃ
ঢাকা থেকে সোজা চলে আসুন নরসিংদী পুরাতন বাস সট্যান্ড। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে চলে আসুন আমিরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এর পর সেখান থেকে একটি অটো ভাড়া করে সোজা চলে আসতে পারবেন আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদে।
আর কি দেখবেন এখানেঃ
এই মসজিদটি দেখতে এলে আমিরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এর কাছেই আমিরগঞ্জ জমিদার বাড়ি বা বড় বাড়ি দেখে আসবেন।